পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ট্রাষ্টের জমি বিদ্যালয়ের নামে রেজিষ্ট্রি করে না দেওয়া, বিদ্যালয়ের অর্থ ব্যয়ের সঠিক হিসাব না দেওয়া এবং ম্যানেজিং কমিটির দুই সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি।
শনিবার (৩০সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলনে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাঁথিয়া উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল বাতেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিদ্যালয়ের ব্যবহৃত দারুস সালাম ট্রাষ্টের নামের জমি বিদ্যালয়ের নামে রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার জন্য মাউশি এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার লিখিত নির্দেশনা থাকা সত্তে¦ও ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসলাম উদ্দিন রেজিষ্ট্রিকরণ না করে নান অযুহাতে কালক্ষেপন করছেন। উক্ত জমি ক্রয়ের জন্য ১৯৯৭ সালে বিদ্যালয়ের তহবিল থেকে ১লাখ ৮১ হাজার ৫শ’ টাকা প্রদান করা হয়। কিন্ত প্রধান শিক্ষক সেটা এসএমসি’র সভায় কখনও উপস্থাপন করেননি। যা সম্পূর্ণ অবৈধ ও অনিয়ম।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে বিষয়টি নিয়ে সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদের সাধারণ সভায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ট্রাস্ট কর্তৃক বিদ্যালয়ের জায়গা রেজিস্টারী করে দেয়ার আদেশ দেয়া হয়। পরিষদের ওই সভায় প্রধান অতিথি ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু এমপি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তদন্ত করে বিদ্যালয়ের নামে ট্রাস্ট কর্তৃক জমি রেজিস্টারির এ নির্দেশ দেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসলাম উদ্দিন বিষয়টি নিয়ে রহস্যজনক কারণে কালক্ষেপণ করতে থাকে। মুলত এ বিষয়টা নিয়ে গত মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টম্বর) দুপুরে পাবনার সাঁথিয়া কাশিনাথপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল বাতেনসহ দুইজন সদস্য বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেন।
এছাড়াও প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ের তহবিল থেকে বিভিন্ন সময় অর্থ ব্যয়ের সর্ঠিক হিসাব কমিটির সভায় উপস্থাপন ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা প্রতিবেদন দাখিলের কথা বললে তিনি আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করেন। এ সকল অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ম্যানিজং কমিটির দুই সদস্য শিবলি সাদিক রাশেদ ও আরিফুল ইসলামের সাথে গত ১৯ সেপ্টেম্বর কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় তিনি কমিটির ওই দুই সদস্যের বিরুদ্ধে ২০ সেপ্টেম্বর সাঁথিয়া থানায় মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন। বিদ্যালয়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানান তিনি।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসলাম উদ্দিন জানান, ট্রাষ্টের জমি বিদ্যালয়ের নামে রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার জন্য মাউশি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার লিখিত নির্দেশনা পেয়েছি। তবে ট্রাষ্টের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ওই জমি শুধুমাত্র ব্যবহারের জন্য বিদ্যালয়ের নামে বরাদ্দ দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন। সে বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবু জাফর, আশরাফ আলী, শিবলি সাদিক রাশেদ , আরিফুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, শিক্ষক প্রতিনিধি মো. নূরুন্নবী ও সাবেক সদস্য আব্দুস সামাদ প্রমুখ।